লিখেছেন: ইজহারুল ইসলাম || Founder & CTO, টেকনিয়াস || তারিখঃ 21 নভে., 2024
– আমরা সাধারণত: ফ্রিল্যান্সিং বলতে ইন্টারনেট থেকে কিছু কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন বুঝে থাকি। বাস্তবতা হল, ফ্রিল্যান্সিং আরও ব্যাপক বিষয়। এটা ইন্টারনেটের বাইরেও হতে পারে। এমনকি দেশীয় কাজ করেও একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মূল হল, নিজস্ব পছন্দ ও স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করা। এটা অনলাইনে হোক বা অফলাইনে।
অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শব্দের সাথে পরিচিত হলেও মৌলিকভাবে কী ধরণের কাজ করা হয় সেটা জানে না। মূল কথা হল, বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে হাজারও ব্যবসায়িক কাজ করা যায়। উদাহরণ স্বরুপ, কারও ওয়েবসাইট বানান। ওয়েবসাইট ডিজাইন করা। লগো ডিজাইন করা। কোন কোম্পানির অনলাইন মার্কেটিং করা।
এধরণের শতাধিক কাজের সুযোগ হয়েছে। একেকটা কাজের জন্য একেক ধরণের যোগ্যতা প্রয়োজন। তবে সবগুলোই মোটামুটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা সম্ভব। এখানে মূল ব্যাপার হল, যে কোন একটা বিষয়ের কাজ জানা ও দক্ষতা গড়ে তোলা। যাদের কাজ জানা আছে এবং দক্ষতা আছে, তারা খুব সহজেই সফলতা পায়। আর যাদের কোন কাজ জানা নেই বা দক্ষতা নেই, তারা আসলে এক সময় ব্যর্থ হয়।
– ফ্রিল্যান্সিং এ হাজারও ধরণের কাজের সুযোগ রয়েছে। প্রত্যেকে তার পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বেছে নেয়।
এখানে বিভিন্ন ধরণের কাজের তালিকা পাবেন। এগুলো দেখলে প্রাথমিক একটা ধারণা হবে। https://www.upwork.com/hire/
আমি কোন কাজটি শিখব?
– কম্পিউটার ভিত্তিক যে কোন কাজ শেখা একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। ব্যক্তি ভেদে একেক জনের একেক রকম সময় লাগে। তবে সাধারণত: যে কোন কাজে ভালো মানের দক্ষ হয়ে উঠতে দুই তিন বছর বা আরও বেশি সময় প্রয়োজন।
কোন কাজ নির্বাচন করার আগে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
১। আপনি কোন কাজটি করতে পছন্দ করেন বা কোন কাজটি করতে আপনার ভালো লাগে, সেটি নির্দিষ্ট করুন।
২। কোন কাজের ডিমান্ড ও মার্কেট কেমন, সেটি যাচাই করুন।
৩। আপনার জন্য কোন কাজটি ভালো হবে, এটি বুঝতে না পারলে অভিজ্ঞ কারও সাথে পরামর্শ করুন।
৪। নিয়মিত সময় দিতে পারবেন কি না, এটি নিশ্চিত হয়ে নিন।
– ফ্রিল্যান্সিং এ যারা নতুন, তারা এখানে না বুঝে মারাত্মক একটি ভুল করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং আসলে সহজ বা শর্টকার্ট কোন পথ নয়। এখানে আপনাকে প্রথমে উপরের যে কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এবং কাজ করতে করতে যখন আপনি অন্যের সাহায্য ছাড়া নিজেই কাজটি করতে পারবেন, তখন বাইরের দেশের কাজ শুরু করুন। এর আগে নয়। অনেকেই শেখা শুরুর আগেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট করে ইনকাম করতে চায়। এটি মারাত্মক একটি ভুল পদ্ধতি। বিদেশী কাজ শুরুর আগে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে। এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে। নতুবা দেশের কোন টিমে কাজ করা উচিৎ। বা দুই তিন বছর চাকরি করে দক্ষ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসা উচিৎ।
– প্রথমত: ইংরেজী ভালোভাবে জানতে হবে। এর সাথে সাথে কম্পিউটারে দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটার ভিত্তিক যে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এর সাথে সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। কীভাবে ইন্টারনেট থেকে কোন কিছু খুজে বের করতে হয় সেটা অবশ্যই জানতে হবে। এর সাথে বড় বড় ওয়েবসাইটগুলোও সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে।
কম্পিউটারের কোন কাজের ডিমান্ড কেমন, এটা কীভাবে বুঝব?
– প্রতি বছর বিভিন্ন ওয়েবসাইট কম্পিউটার ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের ডিমান্ডের উপর বিভিন্ন জরিপ প্রকাশ করে। এই জরিপগুলো খুজে খুজে দেখতে হবে। এগুলো নিয়ে এনালাইসিস করতে হবে।
যেমন, স্ট্যাকওভারফ্লো প্রতি বছর রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। আপওয়ার্কও রিপোর্ট পাবলিশ করে। নীচের লিংক দু’টি ভিজিট করে এসব রিপোর্ট সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে পারেন।
https://insights.stackoverflow.com/survey/2020…
https://www.upwork.com/press/2019/05/14/q1-2019-skills/
এছাড়া বিভিন্ন ব্লগসাইট থেকে ধারণা নিতে পারবেন। তবে একেবারে প্রাথমিক যারা আছেন, তারা সিনিয়রদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
– আমাদের কোর্সে মূলত: গাইড করা হবে, কীভাবে কম্পিউটার ভিত্তিক যে কোন কাজে দক্ষ হয়ে নিজেকে সফলতার স্তরে নেয়া যায়। এখানে ক্যারিয়ারের কোন স্তরে কী করতে হবে, এসব বিষয়ে গাইড করা হবে। বিশেষভাবে যারা বিভিন্ন কাজ শিখছেন, কিন্তু ভালো করতে পারছেন না, অথবা কাজ জানেন কিন্তু ক্যারিয়ারে তেমন উন্নতি করতে পারছেন না, আমাদের কোর্সটি তাদের জন্য।
0